হাইকোর্ট
হাইকোর্ট

২৬৭ শিক্ষককে শূন্য পদে নিয়োগ কেন নয়, হাইকোর্টের রুল

১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সনদধারী নিয়োগ বঞ্চিত ২৬৭ জন প্রার্থীকে শূন্য পদের বিপরীতে কেন তাদের নিয়োগের সুপারিশ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের (মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের) সচিব, শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চত করেন রিটকারীদের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (১ মার্চ ) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এবং বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া। অন্যদিকে রাষ্ট্র পক্ষের শুনানিতে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নাছিমুল ইসলাম।

ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া বলেন, ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে শূন্যে পদের ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করার নিয়ম থাকলেও তা না করায় প্রাথমিকভাবে কিছু সংখ্যক প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন। পরে আদালতে তাদের পক্ষে রায় দেন যা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগও বহাল রাখেন। ওই রায়ের আলোকে বর্তমান রিটপিটিশনাররাও শূন্য পদের বিপরীতে নিয়োগের সুপারিশের নির্দেশনা চেয়ে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রিটটি দায়ের করেন।

তিনি আরও বলেন, পূর্বের আবেদনকারীদের ন্যায় বর্তমান রিটকারীগণও নিয়োগের সুপারিশে সমান সুযোগ পাবেন বলে মনে করেন।

রিটকারী শিক্ষকরা হলেন- মো. বাকিবিল্লাহ ভূঁইয়া, মো. আরিফুল ইসলাম, মো. নাছির উদ্দিন, মো. জসিম, মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম, মো. ইব্রাহিম, মো. রেজাউল ইসলাম, উৎপল কুমার রায়, ব্রজবাসী বিশ্বাস, ফারহানা আক্তার, আম্বিয়া খাতুন, নুর নাহার সোমা, প্রদীপ শিকারি, মো. আরিফুর রহমান, মো. আল আমিন, মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, মো. সিদ্দিকুর রহমান, শারমিন সুলতানা, মো. নুরুজ্জামান ও মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ ২৬৭ জন।