চাইল্ড হেল্পলাইন

চাইল্ড হেল্পলাইনে দিনে ৩২৫ কল, আড়াই হাজার ব্যল্যবিয়ে বন্ধ

শিশুদের সহায়তায় স্থাপিত বিনামূল্যের চাইল্ড হেল্পলাইনে (নম্বর ১০৯৮) দিনে গড়ে ৩২৫টি কল এসেছে। এ সময় তথ্য পেয়ে ২ হাজার ৬৯৪টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়। গত সাড়ে পাঁচ বছরে (জানুয়ারি ২০১৬ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২১) এ হেল্পলাইনে মোট কল এসেছে ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩০৭টি।

জাতীয় সংসদ ভবনে রবিবার (৭ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।

সমাজসেবা অধিদফতরের চাইল্ড সেনসিটিভ সোশাল প্রটেকশন ইন বাংলাদেশ (সিএসপিবি) প্রকল্পের আওতায় ইউনিসেফের সহায়তায় এই চাইল্ড হেল্পলাইন চলছে। ২০২৪ সালে সিএসপিবি প্রকল্প শেষ হবে।

তবে ২০২৪ সালের পরেও এই প্রকল্পে অর্থায়নের জন্য অনুরোধ জানিয়ে ইউনিসেফকে চিঠি দেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

বৈঠকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় জানায়‑ ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে মোট ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৩০৭টি ফোন কল গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৮৭২টি ছিল শিশু নির্যাতন সম্পর্কিত, ৫ হাজার ৩৪৭টি পারিবারিক সমস্যা সম্পর্কিত, ৯ হাজার ২১৩টি গৃহিণী ও হারিয়ে যাওয়া শিশু, আইনি সহায়তা চেয়ে কল এসেছে ১৯ হাজার ১৩৮টি, স্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৪৭ হাজার ৪৫৩ জন শিশুকে।

এছাড়া বিদ্যালয়ে পড়াশুনার বিষয়ে স্কুল শিক্ষক, পরিচালনা কমিটি ও অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে সহায়তা দেওয়া হয়েছে ১৮ হাজার ২১৭ শিশুকে। মাদক ও অন্যান্য নেশার ব্যবহার ও ক্ষতি সম্পর্কে পরামর্শ ও নিরাময় সেন্টারে রেফার করা হয়েছে ৪৬৮টি শিশুকে আর কাউন্সিলিং সেবা দেওয়া হয়েছে ১২ হাজার ৬৩৪টি শিশুকে।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, এই প্রকল্পটি শিশু সুরক্ষা, শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। টোল ফ্রি নাম্বারটিতে অনেক কল আসে। বাল্যবিবাহ বন্ধে এটিকে আরও ভালভাবে কাজে লাগানো যায়। তাঁরা মনে করেন, এই প্রকল্পটি চালিয়ে নেওয়া উচিত। যদি ইউনিসেফ অর্থায়ন না করে তাহলে সরকারি অর্থায়নে এটি চালু রাখা প্রয়োজন।

কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, আ কা ম সরওয়ার জাহান, আরমা দত্ত এবং শবনম জাহান বৈঠকে অংশ নেন।

উল্লেখ্য, দেশের যেকোনও প্রান্তে শিশুরা কোনও ধরনের সহিংসতা, নির্যাতন ও শোষণের শিকার হলে নিজে বা অন্য যেকোনও ব্যক্তি বিনামূল্যে ১০৯৮ হেল্পলাইনে ফোন করে সহায়তা চাইতে পারেন।