সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি

অবকাশকালীন ছুটি কমাতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন

করোনাকালের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ বছরের ডিসেম্বরের এবং আগামী বছরগুলোতে অবকাশকালীন ছুটি কমিয়ে আনার অনুরোধ জানিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির পক্ষে গতকাল মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল এ আবেদন জানান।

আবেদনে বলা হয়, করোনার প্রকোপ চলতি বছরের বাড়ায় ৫ এপ্রিল থেকে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়ে আসছিল। লকডাউন শিথিল হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ১১ আগস্ট থেকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।

গত ১৯ আগস্ট এক দরখাস্তে করোনাকালের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ২০২১ সালের সব অবকাশকালীন/ঐচ্ছিক ছুটি বাতিল ও পরবর্তী বছরগুলোতে ছুটি কমিয়ে আনার আবেদন জানানো হয়। পরে সুপ্রিম কোর্টের পূর্ব নির্ধারিত সেপ্টেম্বরের ছুটি বাতিল হয়।

তিনি আরও বলেন, ‘আপনি (প্রধান বিচারপতি) নিশ্চয়ই অবগত আছেন, দেশব্যাপী দীর্ঘদিন আদালত বন্ধ থাকায়/সীমিত পরিসরে চালু থাকায় শুধু ন্যায়বিচারই লঙ্ঘিত হয়নি, অনিষ্পন্ন মামলার সংখ্যাও বেড়েছে। এ পরিস্থিতিতে সমিতি মনে করে, সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সকল অধস্তন আদালতের ২০২১ সালের ডিসেম্বরের ক্যালেন্ডারভুক্ত সকল অবকাশকালীন ছুটিসহ পরবর্তী বছরগুলোর ছুটি কমিয়ে এ ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব।’

এর আগে, গত বছরের ৮ জুলাই একই পরিস্থিতির কারণে প্রধান বিচারপতি বরাবর আবেদন জানিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবীদের এ সংগঠনটি। সেবার সে আবেদন অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের ফুলকোর্ট সভায় বছরের বাকী ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যা আইনজীবী, বিচারপ্রার্থীসহ আদালত সংশ্লিষ্ট সকল মহলে প্রশংসিত হয়েছিল।

উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ে ফুলকোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। আজ বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় ভিডিও কনফারেন্সে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

এবারের ফুলকোর্ট সভার আলোচ্যসূচিতে সুপ্রিম কোর্টের ২০২২ সালের বাৎসরিক ছুটি সম্বলিত ক্যালেন্ডার অনুমোদন, অধস্তন দেওয়ানি আদালতসমূহের ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের অবকাশকালীন ছুটি ও অধস্তন দেওয়ানি আদালতসমূহের ২০২২ সালের অবকাশকালীন ছুটি সংক্রান্ত বিষয়গুলো রাখা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ফুলকোর্ট সভা হচ্ছে বিচারপতিদের কথা বলার নিজস্ব ফোরাম। এতে আদালতের নীতি-নির্ধারণী বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।