মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির কয়েক দফা রিমান্ড মঞ্জুরের ঘটনায় দুই বিচারকের বিষয়ে রায় ঘোষণার দিন পিছিয়েছে।২০২২ সালের জানুয়ারি মাসের ১ম সপ্তাহে এ রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ডিসেম্বরে সর্বোচ্চ আদালতে শীতকালীন অবকাশ থাকার কথা। ফলে রায় ঘোষণার নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী অবকাশের পরই এ রায় হচ্ছে।
এর আগে, চিত্রনায়িকা পরীমনির দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় রিমান্ড মঞ্জুর বিষয়ে গত ৩১ অক্টোবর ঢাকার দুই মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট উচ্চ আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। ভবিষ্যতে রিমান্ড মঞ্জুরের ক্ষেত্রে তাঁরা সতর্ক থাকবেন বলেও অঙ্গীকার করেন। এই ঘটনায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতে রিমান্ড আবেদনের সময় সতর্ক থাকবেন বলে জানান।
সেদিন শুনানি শেষে আদালত ২৫ নভেম্বর (আজ) রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য করেন। পাশাপাশি মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন।
সেদিন দুই বিচারকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল আলীম মিয়া জুয়েল। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে জেড আই খান পান্না। পরীমনির পক্ষে অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এ এম আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।
ক্ষমা প্রার্থনাকারী দুই বিচারক হলেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম। দেবব্রত বিশ্বাস দ্বিতীয় দফায় পরীমনির দুই দিন এবং আতিকুল ইসলাম তৃতীয় দফায় এক দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাজী গোলাম মোস্তাফা।
ঘটনা বিবরণী
গত ৪ আগস্ট পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। পরে তাঁকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এ মামলায় পরীমনিকে প্রথমে চার দিন, দ্বিতীয় দফায় দুই দিন, তৃতীয় দফায় এক দিনসহ মোট সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
মামলায় জামিন আবেদনের শুনানির দিন দেরিতে নির্ধারণ করা নিয়ে জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন পরীমনি। এ বিষয়ে হাইকোর্ট রুল দেন। পরে জজ আদালত পরীমনির জামিন আবেদনের ওপর শুনানির তারিখ এগিয়ে আনেন। গত ৩১ আগস্ট তাঁকে জামিন দেওয়া হয়। পরদিন পরীমনি কারামুক্তি পান।
অন্যদিকে হাইকোর্টে পরীমনির আবেদনের শুনানিতে তাঁকে দফায় দফায় রিমান্ড নেওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। গত ২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুরের ব্যাপারে দুই বিচারকের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চান। দুই বিচারক ব্যাখ্যা দেন, যা ১৫ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়। তবে প্রথম দফায় তাঁদের দেওয়া ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হননি হাইকোর্ট।