মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা ‘মহামারি’ আকার ধারণ করেছে: আইন কমিশন
বাংলাদেশ আইন কমিশন

১৫০ বছরের পুরোনো সাত আইন বাতিল করার সুপারিশ

বর্তমান সময়ে কোনো উপযোগিতা বা প্রায়োগিক ক্ষেত্র না থাকায় দেড়শত বছরের বেশি পুরোনো ৭টি আইন বাতিল করার সুপারিশ করেছে আইন কমিশন। কমিশনের এ সংক্রান্ত সুপারিশ আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, এই আইনগুলো এত পুরোনো যে, এগুলো কোনো কাজে আসছে না। যেহেতু কোনো কার্যকারিতা নেই, তাই বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।

বাতিলের সুপারিশ করা আইনগুলো হলো- দ্যা পাবলিক সার্ভেন্টস (ইনকোয়ারিস) অ্যাক্ট, ১৮৫০, দ্যা টোলস অ্যাক্ট, ১৮৫১, দ্যা ক্যানালস অ্যাক্ট, ১৮৬৪, দ্যা অ্যাক্টিং জাজেস অ্যাক্ট, ১৮৬৭, দ্যা অ্যালুভিয়ন (এ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ১৮৬৮, দ্যা সারায়িস অ্যাক্ট, ১৮৬৭, দ্যা পেনশনস অ্যাক্ট, ১৮৭১।

বাতিলের সুপারিশ করা আইনগুলো ২০১৬ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশ কোডের প্রথম ভলিউমে স্থান পেয়েছে। সেই ভলিউমে স্থান পাওয়া ২৪টি আইনের মধ্যে সাতটি আইন বাতিলের সুপারিশ করা হলো।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনগুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তা সংশোধন এবং ক্ষেত্রবিশেষে নতুন আইন প্রণয়নের সুপারিশ করে থাকে আইন কমিশন। পাশাপাশি অচল ও অপ্রয়োজনীয় আইন চিহ্নিত করে তা রহিতকরণের সুপারিশ করার ক্ষমতা রয়েছে কমিশনের। সেই ক্ষমতাবলে আইন বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে আইন কমিশন বাংলাদেশের বিভিন্ন আইনের সংশোধনী, নতুন আইন প্রণয়ন, আইন বাতিলকরণের সুপারিশসহ বিভিন্ন আইনগত অভিমত প্রদান সংক্রান্ত ১৬০টির বেশি প্রতিবেদন সরকারের কাছে পাঠিয়েছে।