সুপ্রিম কোর্টের নতুন ১২ তলা ভবন। ছবি: জয়দীপ্তা দেব চৌধুরী
সুপ্রিম কোর্টের নতুন ১২ তলা ভবন। ছবি: জয়দীপ্তা দেব চৌধুরী

অর্ধশতাধিক চেম্বার-৩২ বিচারকক্ষ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আধুনিক ভবন

দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রমে গতি আনয়ন, বিচারপতির নিজস্ব চেম্বার সংকট নিরসন ও বিচারকক্ষ (এজলাস) বৃদ্ধির নিমিত্তে ১২ তলা ভবন নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আধুনিক ও নান্দনিক নবনির্মিত এ ভবনে এখন রং, ধোয়া-মোছা, প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র বসানোসহ সাজসজ্জার কাজ চলছে। এসব কাজ শেষে ভবনটিতে দ্রুতই কর্মযজ্ঞ শুরু হবে।

আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন নবনির্মিত ভবনে রয়েছে, বিচারপতিদের জন্য ৫৬টি চেম্বার, ৩২টি এজলাস, পৃথক দু’টি লিফট, আধুনিক জেনারেটর ও দ্বিতল বিশিষ্ট বিদ্যুতের সাব-স্টেশন। এছাড়াও ভবনে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের দাপ্তরিক কক্ষসহ স্থাপন করা হবে বিচার সংশ্লিষ্ট পৃথক ২০টি অফিসকক্ষ।

সুপ্রিম কোর্ট দেশের সর্বোচ্চ আদালত। এটি একই সঙ্গে প্রধান বিচারপতি ও দুই ডিভিশনের (হাইকোর্ট ও আপিল বিভাগ) বিচারপতির কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে হাইকোর্ট ডিভিশনে অধস্তন আদালতে মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে পর্যাপ্ত স্থান না থাকায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মাটিতে স্তূপ করে রাখা হয়েছে। এতে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এছাড়া বেশিরভাগ বিচারপতির নিজস্ব চেম্বার না থাকা এবং বিচারকক্ষ সংকট মোকাবেলায় নতুন ১২ তলা ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়

এ প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২০ সালের মধ্যে আইন ও বিচার বিভাগ এবং গণপূর্ত অধিদফতরকে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স এক্সটেনশন (বর্ধিত) ভবনটি বর্তমান এনেক্স ভবনের পশ্চিম পাশে ১৮ হাজার ১৩৪ বর্গমিটার জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে। ভবন নির্মাণে বরাদ্দ দেওয়া হয় ১৫৮ কোটি চার লাখ ২২ হাজার টাকা। যার পুরোটাই সরকার বহন করছে।

এরপর ২০১৯ সালের মার্চ থেকে শুরু হয় নির্মাণকাজ। ২০২০ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মহামারির কারণে তা সম্ভব হয়নি। তবে সব বাধা অতিক্রম করে ভবন নির্মণের মূল কাজ শেষ হয় ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর।

সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, টুকিটাকি কাজ সম্পন্ন হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন ভবনে বিচারপতি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের স্থানান্তর করা হবে। ভবনটি হওয়ায় উচ্চ আদালতে মামলা পরিচালনা করতে বিচারক-আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের স্থান সংকট দূর হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।