বাসচাপায় মৃত্যু : কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে মালিক ও চালককে নির্দেশ
জেলা ও দায়রা জজ আদালত, ঢাকা

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ঢাকা জজ কোর্টের ৪ দফা নির্দেশনা

করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রকোপ বৃদ্ধিজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংক্রমণ ঠেকাতে চার দফা নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রশাসন।

সোমবার (২৭ জুন) ঢাকার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এ. এইচ. এম হাবিবুর রহমানের সই করা এক আদেশে বিচারক, আইনজীবী ও আদালতের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এবং বিচারপার্থীদের এসব নির্দেশনা প্রতিপালন করতে বলা হয়।

এতে বলা হয়, বর্তমানে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এবং সংক্রমণ বিস্তার রোধকল্পে বিচারক, আইনজীবী আইনজীবী ও আদালতের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এবং বিচারপার্থীদের নিম্নে বর্ণিত নির্দেশনা প্রতিপালনের জন্য বলা হলো।

(ক) স্বাস্থ্য বিধি মেনে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা।

(খ) করোনা সংক্রমণ বিস্তার রোধকল্পে প্রত্যেকটি আদালতের এজলাস, সেরেস্তা শাখা ও বারান্দা পরিষ্কার পরিছন্ন রাখা।

(গ) সাবর্ক্ষনিক মাস্ক পরিহিত অবস্থায় থাকতে হবে।

(ঘ) আদালত, এজলাস, সেরেস্তা, করিডোর এবং বারান্দাসমূহ প্রতিদিন জীবাণুনাশক স্প্রে করার জন্য নেজারত বিভাগকে নির্দেশ প্রসান করা হল।

এদিকে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারপতি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আপিল বিভাগে বিচারকাজ পরিচালনার সময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এ তথ্য জানিয়েছেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ১২ জন বিচারপতি করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় কোর্ট পরিচালনা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।

এসময় কোর্ট পরিচালনার ক্ষেত্রে সব আইনজীবীদের সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি বলেন, পরিস্থিতি খারাপ হলে তো মনে হয় আবার ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা করতে হবে।

এ পর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন প্রধান বিচারপতিকে বলেন, আদালত পরিচালনায় সব ধরনের সহযোগিতা করবো।

দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আদালত সংশ্লিষ্ট সকলকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং মাস্ক পরিধান করে চলাচল করার জন্য অনুরোধ করেছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। সোমবার সমিতির সম্পাদক মোঃ আবদুন নূর দুলাল এ অনুরোধ জানান।

প্রসঙ্গত, দেশে চলতি জুন মাসের শুরু থেকেই করোনার সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। সংক্রমণের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ১৯ লাখ ৬৫ হাজার ১৭৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৮৮ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ১৪০ জনের।