পাচার করা টাকা ফেরত আনার বিধান রেখে অর্থবিল পাস
সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল

পাচার করা টাকা ফেরত আনার বিধান রেখে অর্থবিল পাস

আয়কর, মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট এবং আমদানি শুল্ক সংক্রান্ত বিদেশে পাচার করা অর্থ-সম্পদ ফেরত আনার ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত সুযোগ-সুবিধায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনে জাতীয় সংসদে অর্থবিল (বিল-২০২২) পাস হয়েছে।

জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে বুধবার (২৯ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সংশোধনী আনেন। পরে তা কণ্ঠ ভোটে পাস হয়।

সেবার ক্ষেত্রে ই-টিআইএন (করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর) যুক্ত করে রিটার্ন দাখিলের যে বাধ্যবাধকতা ছিল অর্থবিলে তাতেও ছাড় দেওয়া হয়েছে। কেবল ব্যক্তি-শ্রেণির করদাতাদের জন্য রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ আনার ক্ষেত্রে যে সুযোগ রাখা হয়েছিল তা বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে কম হারে করপোরেট কর সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রেও সংশোধন আনা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে আনা সংশোধনীর মধ্যে রয়েছে-৭ শতাংশ কর দিয়ে শুধু পাচার করা নগদ টাকা দেশে আনা যাবে। যারা সরকারের দেওয়া এই সুযোগ নেবেন না, তাদেরকে জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। জরিমানার পরিমাণ হবে নির্ধারিত করের সমপরিমাণ। আর স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ আনার ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত বাজেটে যে সুযোগ রাখা হয়েছিল তা বাতিল করা হয়েছে।

একইসঙ্গে কম হারে করপোরেট কর সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রেও সংশোধন আনা হয়েছে। যেসব কোম্পানি বছরে ৩৬ লাখ টাকার বেশি ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন করবে তারা কম হারে করপোরেট কর পরিশোধের সুবিধা পাবে।

এর আগে প্রস্তাবিত বাজেটে বিদেশে রক্ষিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে রিটার্নে প্রদর্শন ও পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনার বিধান রাখা হয়। তবে সংসদ সদস্য, অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রিটার্নে প্রদর্শনের বিধান বাতিল করা হয়।

এদিকে আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের শেষ দিন। ফলে এদিন সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট পাস করা হবে, যা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে গত ৯ জুন সংসদে আগামী অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা বেশি।