কুমিল্লায় ভুল চিকিৎসা দিয়ে অপারেশন থিয়েটারে রোগী রেখে ডাক্তারের পলায়ন, আদালতে মামলা
আদালত (প্রতীকী ছবি)

৩০ হাজার ইয়াবা পাচারের মামলায় দুই ভাইয়ের ১০ বছর করে কারাদন্ড

মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী : কক্সবাজারে ৩০ হাজার ইয়াবা পাচারের মামলায় ২ ভাইয়ের প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরো এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

আসামিদের উপস্থিতিতে কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল বুধবার (২৯ জুন) এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কক্সবাজারের চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের উত্তর হারবাং এর কর মুহুরীপাড়ার মৃত আহমদ ছফার ২ পুত্র নুরুল আলম (২২) এবং মোঃ মহি উদ্দিন (২৬)।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন কক্সবাজারের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ

২০১৮ সালের ১ মে সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের টেকনাফস্থ হোয়াইক্ষ্যং হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে নোয়াপাড়ার মোহাম্মদ আলমের বাড়ির নিকটে টেকনাফ থেকে চট্টগ্রামগামী ছোলা বুট বহনকারী একটি ট্রাক থেকে নুরুল আলম এবং মোঃ মহি উদ্দিনকে আটক করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে ৩০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। একইসাথে ট্রাক ও ট্রাকে থাকা ২৬৫ বস্তা ছোলা বুট জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় টেকনাফের হোয়াইক্ষ্যং পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রাজু কান্তি দাশ বাদী হয়ে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) এর ৯(খ) ধারায় টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার জিআর মামলা নম্বর : ২১৯/২০১৮ ইংরেজি এবং এসটি মামলা নম্বর : ১৮১৩/২০১৮ ইংরেজি।

বিচার ও রায়

রামু হাইওয়ে থানার ওসি মামলাটি তদন্ত করে আদালতে চার্জশীট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এর আদালতে মামলাটির অভিযোগ গঠন, সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামি পক্ষে সাক্ষীদের জেরা, আলামত প্রদর্শন, ফরেনসিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হয়।

বিচারের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) এর ৯(খ) ধারায় আসামীদের দোষী সাব্যাস্থ করে বুধবার উপরোক্ত রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দন্ডিত আসামীদ্বয় আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।

মাদক মামলাটির এ রায় ঘোষণা সম্পর্কে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, সরকার মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে। একই নীতি অনুসরণ করে কক্সবাজার জেলা বিচার বিভাগ আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছে। এ মাদক মামলার রায়ে দেশের শত্রু মাদককারবারীদের জন্য সুস্পষ্ট একটা ‘ম্যাসেজ’ রয়েছে।

কক্সবাজার বিচার বিভাগে প্রচুর মামলার জট থাকলেও মাদকের মামলা গুলো আদালত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করছে বলেও জানান পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম।

প্রসঙ্গত, কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল এর আদালত মাদক মামলা ছাড়াও চাঞ্চল্যকর মেজর (অব:) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলা, টেকনাফের আলোচিত ৭ বছরের শিশু অলি উল্লাহ আলো হত্যা মামলাসহ ইতিমধ্যে আরো বেশকিছু হত্যা ও মাদকের মামলার রায় ঘোষণা করেছেন।