ভবন নির্মাণে ২৫ লাখ টাকা অনুদান পেল ব্রাহ্মণবাড়িয়া বার
জেলা আইনজীবী সমিতি ভবন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত অঙ্গনে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে, স্বস্তিতে বিচারপ্রার্থীরা

আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠকের পর আদালত বর্জন কর্মসূচি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতি। ফলে প্রায় ২ সপ্তাহ পর আবারও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালত অঙ্গনে।

আজ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে জেলা জজের আদালত ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-১ আদালত ছাড়া সব আদালতের বিচারিক কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন আইনজীবীরা। এতে করে বিচারপ্রার্থীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. তানভীর ভূঁইয়া জানান, আইনজীবীদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়ায় রোববার থেকে আইনজীবীরা আদালতের বিচারিক কাজে অংশ নিচ্ছেন। তবে জেলা ও দায়রা জজ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারকের বদলির আগ পর্যন্ত তাদের আদালত বর্জন অব্যাহত থাকবে।

এছাড়া নাজির মোমিনুল ইসলামকে দ্রুত সময়ের মধ্যে বদলি করা হবে। যদি আগামী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে ওই দুই বিচারকসহ নাজিরকে অপসারণ করা না হয়, তাহলে সাধারণ সভা থেকে পরবর্তী কর্মসূচি নেওয়া হবে বলেও জানান সমিতির সভাপতি।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল বলেন, আইনজীবীরা আদালতের বিচারিক কাজে অংশ নিচ্ছেন। এতে করে বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে। আদালতের এজলাসগুলোতে বিচারকরা বিচার কাজ পরিচালনা করছেন।

উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ আইনজীবীরা মামলা দাখিল করতে গেলে বিচারক মোহাম্মদ ফারুক মামলা না নিয়ে আইনজীবীদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ করেন আইনজীবীরা।

এ ঘটনায় ২৬ ডিসেম্বর সমিতির সভা করে আইনজীবীরা ১ জানুয়ারি থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মোহাম্মদ ফারুকের আদালত বর্জনের ঘোষণা দেন।

এদিকে বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণের অভিযোগে ৪ জানুয়ারি কর্মবিরতি পালন করেন আদালতের কর্মচারীরা। এ অবস্থায় জেলা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ ও আদালতের নাজির মোমিনুল ইসলামের অপসারণ চেয়ে ৫ জানুয়ারি থেকে পুরো আদালত বর্জনের লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন আইনজীবীরা।

এছাড়াও বিচারকের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও অশালীন স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ২৪ আইনজীবীকে দু’দফায় তলব করেছেন উচ্চ আদালত।