ভোলার দৌলতখানে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম ইব্রাহিম খলিলের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আইনজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ ল অ্যালায়েন্স। একইসঙ্গে হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত বিচারের দাবি এবং অ্যাটর্নি অফিসের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে নীতিগত সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
বাংলাদেশ ল অ্যালায়েন্সের সহ-সভাপতি মো: ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ্ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১০ জুন ২০২৫ মঙ্গলবার দুপুরে ভোলার দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের চরশুভী মাদ্রাসার সামনে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম ইব্রাহিম খলিলের ওপর লাঠিসোঁটা হাতে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। অভিযোগ অনুযায়ী, হামলায় তিনি ও তাঁর ১৫ সহযোগী আহত হন। আহতদের মধ্যে আটজনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বিএনপির রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার পক্ষে প্রচারণার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের বহরে থাকা চারটি মোটরসাইকেল ও চারটি মোবাইল ফোন সেট ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও তোলা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের নাম উঠে এসেছে, যাদের মধ্যে সোহেল, শাওন ও কুদ্দুসের নাম উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশ ল অ্যালায়েন্স মনে করে, একজন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা আইন কর্মকর্তা হিসেবে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের এ ধরনের রাজনৈতিক প্রচারণায় সরাসরি সম্পৃক্ততা রাষ্ট্রীয় বিধিবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ কারণে সংগঠনটি অ্যাটর্নি অফিসে কর্মরতদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণের বিষয়ে স্বচ্ছ ও জনবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছে।
সংগঠনটি একথাও জোর দিয়ে উল্লেখ করেছে যে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও পেশাগত নিরপেক্ষতা রক্ষায় অ্যাটর্নি জেনারেলের দপ্তরের সকল সদস্যের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। পেশার মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখতেই রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নিরুৎসাহিত করতে যৌক্তিক ও প্রাতিষ্ঠানিক বিধিনিষেধ আরোপ জরুরি বলে মত দিয়েছে ল অ্যালায়েন্স।
এ ঘটনায় দ্রুত বিচার ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় পদের ব্যবহার রাজনৈতিক কাজে রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।