হাতের টানেই উঠে যাচ্ছে সড়কের পিচ: আদালতের স্বপ্রণোদিত মামলা
সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, আমতলী

আমতলীতে মিথ্যা মামলা: বাদীর কারাদণ্ড, আসামিরা খালাস

মিথ্যা মামলার দায়ে বরগুনার আমতলীতে এক বাদীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ওই মামলায় চারজন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

২০২৫ সালের ২৬ জুন আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ইফতি হাসান ইমরান এই রায় দেন। মামলাটি সি.আর. ১১২৭/২৪ হিসেবে নথিভুক্ত ছিল।

ঘটনার বিবরণ

বাদী সাহিনুর বেগম, তাঁর পুত্রবধূ খাদিজা বেগমের বিরুদ্ধে একটি জাল দলিলের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, খাদিজা একটি জাল দলিলের মাধ্যমে জমি লিখে নিয়েছেন।

তবে আদালতের তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, দলিলটি সঠিক ও বৈধ। এমনকি মামলার একপর্যায়ে বাদী নিজেই দলিলটিকে সত্য বলে স্বীকার করেন।

আদালতের আদেশ

সেহেতু আদালত মামলাটিকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বিবেচনা করে:

  • দি কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিওর ১৮৯৮ এর ২৫০(২) ধারা অনুযায়ী, সাহিনুর বেগমকে ১,০০০ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ২ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

  • ২৫০(৫) ধারায়, আরও ২ দিনের অতিরিক্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

  • একইসঙ্গে সাজা পরোয়ানা জারি করে সাহিনুর বেগমকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অন্যদিকে, মামলার চার আসামি খাদিজা বেগমসহ সবাইকে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয়।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. কামাল হোসেন বলেন, “সাহিনুর বেগমের সাথে তার পুত্রবধূ খাদিজার মনোমালিন্য হওয়ায় পুত্রবধূকে পূর্বে দেওয়া জমির দলিল জাল দাবী করে পুত্রবধূ খাদিজার বিরুদ্ধে মামলা করে সাহিনুর। জাল দাবীকৃত দলিলটি আদালতের নিকট সঠিক প্রতীয়মান হওয়ায় এবং বাদী নিজেও একপর্যায়ে দলিলটি জাল নয় বরং সঠিক স্বীকার করায় বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট মামলাটি মিথ্যা ও ভূয়া প্রমাণিত হওয়ায় বাদীকে এই সাজা প্রদান করেন।”