সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান

সংবিধান ও আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবো: বিচারপতি ওবায়দুল হাসান

সংবিধান ও আইন অনুযায়ী নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে নবনিযুক্ত অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটির সভাপতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

আজ শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সার্চ কমিটির সভাপতি পদে নিযুক্ত হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

সার্চ কমিটির দায়িত্ব দেওয়ায় রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাকে এবং আমার সহকর্মীদের এই মর্যাদাপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ায় আমি মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে কৃতজ্ঞ। শিগগির আমরা বৈঠক করবো।’

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘কমিটির সম্মানিত সহকর্মীদের সঙ্গে পরামর্শ করে আমি বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবো।’

এর আগে শনিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যবিশিষ্ট সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ পেশ করতে হবে।

নতুন কমিটির সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন এবং কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।

এ দিন সকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পরে দুপুরের দিকে তা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ এর ধারা ৩ মোতাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারগণের নিয়োগদানের জন্য আইনে বর্ণিত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নাম সুপারিশ করার লক্ষ্যে অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটি গঠন করা হলো।

আরও পড়ুন: বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ইসি নিয়োগে সার্চ কমিটি গঠন

অনুসন্ধান কমিটি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ মোতাবেক দায়িত্ব ও কার্যাবলী সম্পন্ন করবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অনুসন্ধান কমিটির কার্য সম্পাদনে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ শেষ হচ্ছে। নিয়মানুযায়ী, এরআগেই নতুন ইসি গঠন করা হবে। সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের মনোনীত করার পর রাষ্ট্রপতি তা চূড়ান্ত করেন। তবে এবার নতুন আইন অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠন করা হলো।