ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের দেয়া এক বক্তব্য প্রধান বিচারপতির নজরে এনেছেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম।
বুধবার বেলা ১১ টা ৩০ মিনিটে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বিভাগের ডায়াসে দাঁড়ান ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। এসময় তিনি গত রোববার বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দেয়া মেয়র তাপসের বক্তব্য নিয়ে করা পত্রিকার প্রতিবেদন পড়ে শোনান।
দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় প্রকাশিত শেখ ফজলে নূর তাপসের বক্তব্য তুলে ধরে ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম আদালতে বলেন, ‘তিনি বলেছেন, মনটা চায় আবার ইস্তফা দিয়ে ফিরে আসি। যেখানে মুগুর দেয়ার সেটাও জানি। একজন চিফ জাস্টিসকেও নামিয়ে দিয়েছিলাম। মশিউজ্জামান (বারের গত নির্বাচনের সাব কমিটির প্রধান)কে আমরা মনে করতাম, ওরে বাবা, কী জানি ফেরেস্তা আসছে! সবচেয়ে বড় চোর হলো মশিউজ্জামান! যে সকল সুশীলরা আমাদেরকে বুদ্ধি দিতে যাবেন, সেই সকল সুশীলদের আমরা বস্তায় ভরে বুড়িগঙ্গা নদীর কালো পানিতে ছেড়ে দেবো…..।’
একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতি ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলামকে বলেন, ‘ঠিক আছে। আমরা পত্রিকার প্রতিবেদনটা পড়ি দেখি। তারপর কি করা যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিব।’
এসময় আদালত কক্ষে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের মধ্যে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, সাবেক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, মাহবুবউদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, শাহ আহমেদ বাদল, সৈয়দ মামুন মাহবুব, আবেদ রাজা, মোহাম্মদ আলী, মো. আক্তারুজ্জামান সহ শতাাাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
একপর্যায়ে আদালত থেকে বের হয়ে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম সাংবাদিকদের এবিষয়ে ব্রিফ করেন।
ব্রিফিংয়ে সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য আমীর-উল ইসলাম বলেন, ‘এটি বড় রকমের অবক্ষয়। এ জন্য আমরা প্রধান বিচারপতির কাছে গিয়েছিলাম। আদালত বলেছেন, তাঁরা দেখবেন। আমরা প্রত্যাশা করছি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এটি দেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। এই বক্তব্যে বিচার বিভাগ শুধু নয়, সারা বাংলাদেশের মানুষ মন ক্ষুণ্ন হয়েছে। সারা দেশের মানুষ বিচারব্যবস্থার দিকে তাকিয়ে থাকে। বিচারকদের কথা শুনলে গ্রামের একজন চাষিও মনে করেন, সেখানে ন্যায়বিচার পাব।’