উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের ৫ দফা অভিমত
বিচারপতি (প্রতীকী ছবি)

অবসরে যাচ্ছেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রইস উদ্দিন

দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রইস উদ্দিন অবসরে যাচ্ছেন। দীর্ঘ ১৯ বছরের বিচারিক জীবনের ইতি টানতে যাচ্ছেন তিনি।

বিচারকের পদের মেয়াদ সম্পর্কে সংবিধানের ৯৬ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘এই অনুচ্ছেদের অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে কোনো বিচারক ৬৭ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকবেন।’ আগামী ৩০ জুন বিচারপতি রইস উদ্দিনের ৬৭ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে। ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে এদিন তাঁর শেষ কর্ম দিবস।

কিন্তু এ সময় আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ কোর্টের অবকাশে আগামীকাল ২২ জুন থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ আদালতের উভয় (হাইকোর্ট ও আপিল) বিভাগের নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ফলে আজ বুধবার (২১ জুন) বিচারক হিসেবে তাঁর শেষ কর্ম দিবস।

বিচারপতি রইস উদ্দিনের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

১৯৫৬ সালের ৩০ জুন জন্মগ্রহণ করেন মো. রইস উদ্দিন। তাঁর গ্রামের বাড়ী মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানাধীন হাতনীতে। রইস উদ্দিন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন যা তাঁর জীবনের গৌরবময় অধ্যায়।

মো. আফছার উদ্দিন ও জাবেদা খাতুন দম্পতির সন্তান রইস উদ্দিন ১৯৭২ সালে জার্মিত্তা সত্য গোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয় হতে এস.এস.সি পাস করেন। এরপর ১৯৭৪ সালে সাভার ডিগ্রি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন।

পরবর্তীতে ১৯৭৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সরকারী তোলারাম কলেজ থেকে স্নাতক এবং ১৯৭৯ সালে ধানমন্ডি ল’ কলেজ থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রি লাভ করেন।

রইস উদ্দিন ১৯৮১ সালে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ লাভ করেন এবং আইন পেশায় নিয়োজিত হন। ১৯৮৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সনদপ্রাপ্ত হন এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য পদ গ্রহণ করে হাইকোর্টে প্র্যাকটিস শুরু করেন।

২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। ২০০৬ সালের ২৩ আগস্ট একই বিভাগের স্থায়ী বিচারক হিসেবে শপথ নেন।

বিচারপতি রইস উদ্দিন ব্যক্তিগত জীবনে তাহমিনা আক্তারের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। রইস উদ্দিন ও তাহমিনা আক্তার দম্পতির তিন কন্যা। এরমধ্যে বড় কন্যা চিকিৎসক, মেঝো মেয়ে প্রকৌশলী এবং ছোট জন ব্যারিস্টার-এট-ল’।