কক্সবাজারে ৩১ হাজার ইয়াবা পাচারের মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
এজলাস, কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের

কক্সবাজারে ৯৪ হাজার ইয়াবা পাচার: দুই আসামিকে যাবজ্জীবন, একজন খালাস

৯৪ হাজার ৬৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারের মামলায় কক্সবাজারের উখিয়া থেকে গ্রেপ্তার হওয়া দুই মাদক কারবারিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডও নির্ধারণ করা হয়েছে। একই মামলায় অপর এক আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক নিশাত সুলতানা এই রায় ঘোষণা করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দণ্ডিত ও খালাসপ্রাপ্ত আসামিদের পরিচয়

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—

  • মো. শাহাবুদ্দিন (৩২), পিতা: মৃত আফলাতুন, মাতা: ছেনুয়ারা, ঠিকানা: পালংখালী ইউনিয়ন, উখিয়া, কক্সবাজার।

  • সরওয়ার আলম (২৭), পিতা: মৃত শামসুল আলম, মাতা: নুর বাহার, ঠিকানা: পশ্চিম ফারিরবিল, উখিয়া, কক্সবাজার।

বেকসুর খালাসপ্রাপ্ত আসামি:

  • মো. রাসেল (২৮), শাহাবুদ্দিনের ভাই।

রায় ঘোষণার সময় শাহাবুদ্দিন আদালতে উপস্থিত থাকলেও, সরওয়ার আলম পলাতক রয়েছেন।

মামলার পটভূমি

২০২২ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে র‍্যাব-৭-এর একটি দল উখিয়ার বালুখালী দাখিল মাদ্রাসার সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে একটি অটোরিকশা আটক করে। সেখান থেকে শাহাবুদ্দিনের কাছ থেকে ৮৭,৯৯৩ পিস এবং সরওয়ার আলমের কাছ থেকে ৬,৬৫৭ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। রাসেল পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় র‍্যাব-৭ এর ডিএডি মো. হেলাল উদ্দিন উখিয়া থানায় মামলা করেন — মামলা নং: ৩৮/২০২২ (তারিখ: ০৮/০২/২০২২), জিআর মামলা নং: ১৭৩/২০২২ এবং এসটি মামলা নং: ২৯৩/২০২৪।

বিচার প্রক্রিয়া

২০২৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি মামলার চার্জ গঠন হয়। মামলায় মোট ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ, আসামিদের জেরা, আলামত পর্যালোচনা, রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন ও যুক্তিতর্ক শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হয়।

বিচারক নিশাত সুলতানা ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) সারণির ১০(গ) ধারা অনুযায়ী দুই আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করেন।

মামলার আইনজীবী

  • রাষ্ট্রপক্ষে: অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রেজা (অতিরিক্ত পিপি)

  • আসামিপক্ষে: অ্যাডভোকেট খালেক নেওয়াজ (শাহাবুদ্দিন) এবং অ্যাডভোকেট এসমিকা সুলতানা (সরওয়ার আলম)।