সদ্য সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান
সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান

সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদের বিরুদ্ধে এবার সুনামগঞ্জে মামলার আবেদন

সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, এমপি ও মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জে মামলার আবেদন করা হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমান সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে এ আবেদন দায়ের করা হয়।

আজ রোববার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় সুনামগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুর রহিমের আদালতে মামলার আবেদন করা হয়।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক বাদী হয়ে এ আবেদন করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ, নারী বিদ্বেষী এবং নারীর জন্য মর্যাদাহীনকর ভাষা ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভে সাক্ষাৎকার দেন মুরাদ হাসান। সাক্ষাৎকারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় মিথ্যা তথ্য প্রকাশ ও প্রচারের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ ও সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা সৃষ্টি করে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নেয়া শপথ ভঙ্গ করে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন তিনি।

মামলার অপর আসামী মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ ওই ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারের সঞ্চালক ছিলেন।

মামলার বাদী অ্যাডভোকেট আব্দুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাতনি, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মেয়ে ও দেশের সম্ভ্রান্ত রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে নিয়ে একজন মন্ত্রী যেভাবে কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন ভাষায় কথা বলেছেন সেটা বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে কোনভাবেই কাম্য নয়। এই বক্তব্যে শুধু জাইমা রহমান নয়, দেশের পুরো নারী জাতিকে অসম্মান করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় বিচার চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেছি। আমরা আশা রাখি আদালতে সঠিক বিচার পাবো।’

এই সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মল্লিক মইনুদ্দিন সুহেল, অ্যাডভোকেট মাসুক আলম, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুল, পৌর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শেরে নুর আলী প্রমুখ।