কক্সবাজারের ডিসিকে হাইকোর্টে তলব
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: জয়দীপ্তা দেব চৌধুরী

চেক ডিজঅনারের মিথ্যা মামলা, বাদীকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করল হাইকোর্ট

সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে দায়ের করা চেক ডিজঅনার মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় বাদীকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন উচ্চ আদালত। হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) এ আদেশ দেন।

মামলার বাদীর নাম রফিকুল ইসলাম এবং আসামি সাবেক স্ত্রী সাদিয়া।

আদালত আসামির দায়ের করা আপিল মঞ্জুর করে চেকে বর্ণিত ২৪ লাখ টাকার অর্ধেক ১২ লাখ টাকা ১০ দিনের মধ্যে আসামিকে ফেরৎ দেওয়ার জন্য নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন।

জরিমানা করা ১০ লাখ টাকা আসামি সাদিয়া আফরিনকে ৩ মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। মামলার বাদী তার সাবেক স্বামী রফিকুল ইসলামকে এ টাকা পরিশোধ করতে হবে।

আদালতে আসামির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. শাহজাদা।

তিনি আদালতের আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। আইনজীবী মো. শাহজাদা জানান, পটুয়াখালীর বাউফলের অলোকি চান্দকাঠি এলাকার মো. রফিকুল ইসলাম ২০১৭ সালের ৫ মার্চ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার সবুজনগর এলাকার সাদিয়া আফরিনকে বিয়ে করেন। বিয়ের ১১ দিনের মাথায় সাদিয়া তার স্বামীকে ডিভোর্স দেন।

মামলার আর্জিতে দেখা যায়, এরপর রফিকুল ইসলাম তার সাবেক স্ত্রী সাদিয়ার বাবার কাছে টাকা পাবেন বলে সাদিয়া তাকে ২৪ লাখ টাকার চেক দেন। ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল ব্যাংকে জমা দিলে এই চেক প্রত্যাখ্যান হয়।

এরপর একই বছরের ১৭ এপ্রিল রফিকুল তার সাবেক স্ত্রীকে আইনি নোটিশ দেন। তারপর একই বছরের ২৪ মে মামলা করেন তিনি। বিচার শেষে ২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালত রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে সাদিয়া আফরিনকে ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ২৪ লাখ টাকা জরিমনা করেন। পরে নিয়ম অনুসারে ১২ লাখ টাকা জমা দিয়ে ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে আপিল করেন সাদিয়া। এই আপিলের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার রায় দেন হাইকোর্ট।

আইনজীবী মো. শাহজাদা জানান, রায়ে সাদিয়া আফরিনকে খালাস দিয়েছেন। পাশাপাশি যে ১২ লাখ টাকা জমা দিয়ে আপিল করেছেন সেই টাকা ১০ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া প্রতারণা করায় বাদী রফিকুলকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। এই টাকা তিন মাসের মধ্যে সাদিয়াকে পরিশোধ করতে হবে।

এই আইনজীবী জানান, বিয়ে টিকেছিল ১১ দিন। এই ১১ দিনের কোনো এক কৌশলে সাদিয়ার কাছ থেকে চেক নিয়ে যান রফিকুল। সেখানে টাকার অংক ও সই বসিয়ে তিনি প্রতারণা করেছেন। কারণ সাদিয়ার হিসাব থেকে ২০ হাজার টাকার বেশি আদান প্রদান হয়নি। তাহলে এত টাকার চেক কীভাবে হবে। আর সে একজন ছাত্রী। এসব বিষয় হাইকোর্টে তুলে ধরা হয়েছিল।