মিথ্যা মামলা করায় বাদীর অর্থদণ্ড
এজলাস; সহকারী জজ আদালত, বিশ্বম্ভরপুর

মিথ্যা মামলা করায় বাদীর অর্থদণ্ড

মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করায় বাদীকে আর্থিক দন্ড প্রদান করেছেন সুনামগঞ্জের একটি আদালত। আদেশে মামলার বাদী শফিকুল ইসলাম ও নিলুফা ইয়াসমিনকে বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বিশ্বম্ভরপুর সহকারী জজ আদালতের বিচারক মোঃ আরিফুর রহমান এই আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের সেরেস্তাদার নুরুল হুদা ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দেওয়ানী কার্যবিধির ৩৫এ ধারার অধীনে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা করার দায়ে আদালত বাদীকে আর্থিক সাজা প্রদান করেছেন। আদালতের রায়ে বিবাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, বাদী তার মামা বিবাদীপক্ষের বরাবর ২০১৩ সালে নালিশা ভূমি অর্থের বিনিময়ে বিক্রয় করলেও সাফ কবলা দলিল সম্পাদন না করে দানপত্র দলিল সম্পাদন করে দেন ও জমির দখল হস্তান্তর করেন।

পরবর্তীতে বাদীপক্ষ ২০১৮ সালে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য উল্লেখ করে ওই দানপত্র দলিল বাতিলের প্রার্থনায় মোকদ্দমা দায়ের করেন, যা সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত কর্তৃক খারিজ হয় এবং বাদীপক্ষকে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

প্রসঙ্গত, দেওয়ানী মামলায় উকিল নিয়োগ, কাগজপত্র সংগ্রহ এবং আদালতে হাজিরা বাবদ বিবাদীকে অনেক অর্থ খরচ করতে হয়। কিন্তু দিন শেষে মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হলে বিবাদীর আর পাওয়ার কিছু থাকেনা। সাধারণত ফৌজদারি আদালতে মিথ্যা মামলা করার শাস্তি স্বরূপ প্রায়ই জেল-জরিমানা হয়।

তবে দেওয়ানী মামলার ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ খুবই কম; কিন্তু দেওয়ানী আদালতে হয়রানি করার জন্য কেউ মিথ্যা মামলা করলে তারও সমপরিমাণ শাস্তি হওয়া উচিত বলে দাবী করেন বিচারপ্রার্থীরা। আদালতের এমন কঠোর পদক্ষেপে মিথ্যা মামলা দায়ের করে আদালতের সময় অপচয় এবং বিবাদীপক্ষের হয়রানি বন্ধ হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।